Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
সাভারে পুলিশের লাঠিপেটা, আহত ২৫ শ্রমিক
বিস্তারিত

ঢাকার অদূরে সাভারে আজ সোমবার ধসে পড়া রানা প্লাজার বিভিন্ন কারখানার ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। এ সময় ওই ভবনধসের ঘটনায় আহত শ্রমিক ও নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনেরাও লাঠিপেটার শিকার হন।

এতে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। ঈদের বেতন-বোনাস ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে তাঁরা সকাল থেকে বিক্ষোভ করছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে বকেয়া বেতন-বোনাস এবং আহত ও নিখোঁজ শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে আন্দোলন করছেন রানা প্লাজার ভবনধসের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক এবং আহত ও নিখোঁজদের স্বজনেরা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকাল ১০টার দিকে চার শতাধিক শ্রমিক এবং নিখোঁজ ও আহত শ্রমিকদের স্বজনেরা ঘটনাস্থলের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নেন। পরে তাঁরা একটি মিছিল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় ঘেরাওয়ের উদ্দেশে উপজেলা পরিষদের দিকে রওনা হন। মিছিলটি পাকিজা ডায়িংয়ের কারখানার সামনে পৌঁছলে পুলিশ এতে বাধা দেয় ও শ্রমিকদের পিছু হটতে বাধ্য করে। মিছিলটি রানা প্লাজার দিকে ফিরে যাওয়ার সময় একপর্যায়ে পুলিশ আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করতে থাকে।

এ সময় শ্রমিকেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালানোর চেষ্টা করলে অনেকে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যান। পুলিশ খাদে নেমে অনেক শ্রমিককে লাঠিপেটা করে। এসব ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। পরে শ্রমিকদের কিছু অংশ বিচ্ছিন্নভাবে রানা প্লাজার ওই স্থানের সামনে অবস্থান নেন।

এ ব্যাপারে সাভার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ঈদের আগে সড়কে অবস্থান নিলে প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ঘরমুখো মানুষ দুর্ভোগের শিকার হতে পারেন। এ কারণেই ভয় দেখিয়ে পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে তিনি শ্রমিকদের লাঠিপেটা করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

আন্দোলনরত শ্রমিক জুঁই ও রিয়া জানান, রানা প্লাজা ভবনধসের পর ওই ভবনে থাকা কারখানাগুলোর শ্রমিকেরা বেকার জীবন কাটাচ্ছেন। বেতনভাতা বা ক্ষতিপূরণ না দেওয়ায় তাঁরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। আহত ও নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবারকেও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। এ কারণে বাধ্য হয়ে তাঁরা আন্দোলন করছেন।

ছবি
ডাউনলোড